স্যার ফ্রান্সিস গল্ট এর দীর্ঘ গবেষনার পর ১৮৮০ সালে মানুষকে শনাক্তকরনের জন্য এক নতুন পদ্ধতির আবিস্কার করেন। তিনি প্রমান করেন প্রতিটি মানুষের আঙ্গুলের ছাপ আলাদা। দুটি মানুষের আঙ্গুলের ছাপ কোন মতেই একই হতে পারে না। এই আবিস্কারের পরে সারা পৃথিবী জুড়ে আপরাধি সনাক্তকরনের এক নতুন বৈজ্ঞানীক পদ্ধতির সুচনা হল। এর পর থেকে সারা পৃথিবী জুড়ে পুলিশ বা গোয়েন্দারা এই পদ্ধতির সাহায্যে হাজার হাজার অপরাধিদের ধরেছে আর হাজার হাজার নির্দোশদের শাস্তির হাত থেকে বাচিয়েছে। আজ পৃথিবীর সকল দেশের পুলিশ, সি.আই.ডি বা ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন। কিন্তু শুনে আশ্চর্য হবেন এই ফিঙ্গার প্রিন্টের কথা মহাগ্রন্থ আল কুরানে সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে বর্ননা করা হয়েছে। যখন কুরানের এই আয়াতটি নাযীল হল-
“মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার অস্থিগুলি একত্রিত করতে পারব না?”
তখন কাফেরা এই আয়াতটি নিয়ে হাসাহাসি শুরু করল। মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবন সম্পর্কে আবিশ্বাসীরা যুক্তি খাড়া করল মৃত ব্যক্তিদের অস্থি সমুহ খন্ডস-বিখন্ড হয়ে মাটিতে মিশে যাওয়ার পর বিচার দিবসে আলাদা করে প্রত্যেককে কিভাবে শনাক্ত করা যাবে। আল্লাহ কি বুঝতে পারবেন কোনটা কার অস্থি? এটা কোন মতেই সম্ভব নয়। তখন আল্লাহ তাদের উদ্দেশ্যে বললেন-
“বরং আমি তার আঙ্গুলের ছাপকেও সুবিন্যাস্ত করতে সক্ষম” (সুরা কিয়ামাহ/৩-৪)
অর্থাৎ আল্লাহ তাদের বললেন মৃত ব্যক্তিদের অস্থি সমুহ খন্ড বিখন্ড হয়ে মাটিতে মিশে যাওয়ার পর বিচার দিবসে আলাদা করে প্রত্যেককে শনাক্ত করতে তিনি সক্ষম এমনকি আঙ্গুলের ছাপ দিয়েও তিনি
মানুষদের শনাক্ত করতে সক্ষম।
Advertisements